Academy

চীন 'বিশ্বের মধ্যে একটি বৃহত্তম জনবহুল দেশ। তা সত্ত্বেও দেশটি কৃষি ক্ষেত্রে বেশ উন্নত। এর প্রধান কারণ চীন মৌসুম নিরপেক্ষ ও হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদনে সক্ষম। আমরাও এ ধরনের কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়েকগুণ বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারি। এগুলো নিজেদের প্রয়োজন। মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারি।

উদ্দীপকে উল্লেখিত দেশটির মতো মৌসুম নিরপেক্ষ ও হাইব্রিড জাতের ফসল চাষ করে আমরাও লাভবান হতে পারি- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। (উচ্চতর দক্ষতা)

Created: 2 months ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago
Ans :

উদ্দীপকে উল্লেখিত দেশটি হলো- চীন। দেশটির মতো মৌসুম নিরপেক্ষ ও হাইব্রিড জাতের ফসল চাষ করে আমরাও লাভবান হতে পারি। উক্তিটির যথার্থতা নিম্নে বিশ্লেষণ করা হলো-

ফসলের ক্ষেত্রে দিনের দৈর্ঘ্য সচেতনতা মৌসুম নির্ভরশীলতার প্রধান কারণ। এ দিবা দৈর্ঘ্য সংবেদনশীলতা দূর করতে বা কমিয়ে দিতে পারলে অর্থাৎ একটি মৌসুম নির্ভর ফসলকে মৌসুম নির্ভরতা মুক্ত করতে পারলে ফসলটি যে কোনো মৌসুমে উৎপাদন করা যায়। মৌসুম নির্ভরতামুক্ত ফসল চাষ করে কৃষকরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে পারবে-

১. বাজারে অসময়ের ফল ও সবজির চাহিদা খুবই বেশি। এসব অসময়ের ফসল উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। কৃষক ও খুচরা বিক্রেতা উভয়ে বাড়তি পয়সা উপার্জন করতে পারে। বিশেষ করে আগাম ফসল বাজারজাত করতে পারলে বেশি দাম পাওয়া যায়।
২. ঋতুচক্র সংশ্লিষ্ট কর্মহীনতা দূর হয়ে কৃষককে মোটামুটি সারা বছর কর্মব্যস্ত রাখতে পারে।
৩. 'মঙ্গা' বা এ ধরনের সাময়িক দুর্ভিক্ষাবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
৪. বাজারে কৃষিপণ্য বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করতে পারে।
৫. আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে এনে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হতে পারে।
অপরদিকে হাইব্রিড জাতের ফসল চাষ করেও আমরা লাভবান হতে পারি। হাইব্রিড জাতের ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা অন্যান্য ফসলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এ কারণে অল্প জমিতে ফসল চাষ করে আমরা বেশি ফলন পেতে পারি এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারি।

2 months ago

কৃষি শিক্ষা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

কৃষিতে বিজ্ঞানীদের দুটি অবদান নিম্নরূপ
১. নিরলস গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করেছেন।
২. মাটির ধরন বিবেচনা করে কোন অঞ্চলে কোন ফসলে কী মাত্রায় সার প্রয়োগ করা হবে সে বিষয়ে কৃষকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

কৃষিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। আর এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা। তারা জলবায়ু, পরিবেশ, মাটি, পানি উৎপাদন পদ্ধতি এসব বিষয় বিবেচনায় এনে উচ্চতর গবেষণা করছেন। তাদের নিরলস গবেষণার ফলেই কৃষিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি।

বন্যা প্রতিরোধী ৪টি ধানের জাতের নাম হলো-
১. ব্রি ধান ২২,
৩. ব্রি ধান ৩৭,
২. ব্রি ধান ২৩,
৪. ব্রি ধান ৩৮।

গ্রামীণ সাংস্কৃতিক কাঠামোতে কৃষির ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা যায়। কৃষকের সাংস্কৃতিক জীবন ও জনমানুষের সাংস্কৃতিক ভাবনায় চমৎকার মেলবন্ধন লক্ষ করা যায়। যেমন- কৃষি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে চারণ কবি খনার নানা মন্তব্য 'খনার বচন' নামে খ্যাত যা আমাদের সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।

ফসলের জন্য সারের মাত্রা নির্ধারণের শর্ত হলো-
১. পূর্ববর্তী ফসলে কোন মাত্রায় সার দেওয়া হয়েছে।
২. প্রয়োগকৃত সারের কোনগুলো নিঃশেষ হয়ে যায়

কৃত্রিম রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর একটি উপায় হলো অণুজীব সার প্রয়োগ। এ ধরনের সার প্রয়োগে মাটির উর্বরতা বাড়ে, মাটিদ্ধ ফসফেট দ্রবীভূত হয়ে ফসলের গ্রহণোপযোগী হয়। সর্বোপরি ফসলের ফলন ও গুণগতমান বৃদ্ধি পায়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...